নেত্রকোণা জেলার উত্তর প্রান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়ন। সেখানে আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের চীনামাটির পাহাড়। সাদা, কালো, লাল, হলুদ ও গোলাপিসহ বিভিন্ন রংয়ের চীনামাটি দেখা যায় এ পাহাড়ে।
১৯৫৭ সালে দুর্গাপুরে সর্বপ্রথম সাদা মাটি বা হোয়াইট ক্লের সন্ধান পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সরকারের খনিজ সম্পদ বিভাগ এ সাদামাটির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য ১৩টি কূপ খনন করে এবং তদ্পরবর্তীতে চীনামাটির উত্তোলন শুরু হয়। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন যা আগামী তিনশো বছর পর্যন্ত দেশের সিরামিক শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়। ভূ-পৃষ্ঠের সাত মিটার গভীর পর্যন্ত এ চীনামাটি পাওয়া যায়। টারশিয়ারি যুগের এসব পাহাড়ের উচ্চতা ৬০০ মিটারের বেশি নয়। ছোট বড় টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল।
১৯৫৭ সালে দুর্গাপুরে সর্বপ্রথম সাদা মাটি বা হোয়াইট ক্লের সন্ধান পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সরকারের খনিজ সম্পদ বিভাগ এ সাদামাটির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য ১৩টি কূপ খনন করে এবং তদ্পরবর্তীতে চীনামাটির উত্তোলন শুরু হয়। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন যা আগামী তিনশো বছর পর্যন্ত দেশের সিরামিক শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়। ভূ-পৃষ্ঠের সাত মিটার গভীর পর্যন্ত এ চীনামাটি পাওয়া যায়। টারশিয়ারি যুগের এসব পাহাড়ের উচ্চতা ৬০০ মিটারের বেশি নয়। ছোট বড় টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল।


বিচিত্রময় সাংস্কৃতিক আবহাওয়া, কংশ-টেপা-সোমেশ্বরীর কাশবন আর দূরে আকাশে হেলান দিয়ে গম্ভীর গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন প্রতিকৃতি বহু বছর আগে থেকেই সৌন্দর্যপিপাসুদের মন কেড়ে নেয়। হরেক রকম রঙের সমন্বয়ের কারণেই ভ্রমণপিয়াসু মানুষের কাছে এই জায়গাটি জনপ্রিয়তা পায়। গোলাপি সাদা রঙা পাহাড়, আর তার নিচে নীলাভ সবুজ জলাধার, উপরে নীল আকাশ এক অপূর্ব মাধুর্যের সমন্বয় সাধন করেছে এখানে প্রকৃতি। স্থানীয়রা এই জায়গাটিকে সাদা মাটি, নীল পানি, চীনা মাটির পাহাড় নামেই চেনে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন