বালিশের ওপর মাথা রেখে মানুষ ঘুমায়। কিন্তু এ নামে যে মিষ্টি হতে পারে, তাও আবার বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, তা অনেকেই ধারণা করতে পারবেন না। নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি তেমনই এক মিষ্টি! এটি আকারে বালিশের মত বড় না হলেও দেখতে অনেকটা বালিশের মত, এবং এর উপরে ক্ষীরের প্রলেপ থাকাতে একটি দেখতে অনেকটা কাভারওয়ালা বালিশের মত। এই মিষ্টি গয়ানাথের বালিশ মিষ্টি নামে পরিচিত। এ মিষ্টি বারহাট্টা রোড, মেছুয়া বাজার ও তেরীবাজার থানার মোডের গয়ানাথের মিষ্টান্ন ভান্ডারে দোকানে পাওয়া যায়। আকার ভেদে মিষ্টির দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দামের বালিশ মিষ্টি পাওয়া যায় গয়ানাথের মিষ্টির দোকানে।
নেত্রকোনা জেলা শহরের গয়ানাথ ঘোষ বিখ্যাত বালিশ মিষ্টির উদ্ভাবক। তার নামানুসারে এ মিষ্টি গয়ানাথের বালিশ নামে পরিচিত। নেত্রকোনা শহরের বারহাট্টা সড়কে ‘গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামের যে মিষ্টির দোকানটি দেখা যায় বহু বছর আগে তা পরিচালনা করতেন গয়ানাথ নামীয় একজন। গয়ানাথের শখ ছিল নতুন নতুন মিষ্টি তৈরি করার। একদিন তিনি শখের বশে বিশাল আকারের কয়েকটি মিষ্টি তৈরি করে তা বিক্রি করলেন। ক্রেতারা তার এ মিষ্টির খুব প্রশংসা করলেন। মিষ্টিটির আকার অনেকটা কোল বালিশের মতো হওয়ায় এটির নাম রাখা হলো বালিশ মিষ্টি। অল্প দিনেই ছড়িয়ে পড়ে এ মিষ্টির সুনাম। একসময় গয়ানাথের নামও জড়িয়ে যায় মিষ্টির নামের সংগে। মিষ্টিটি পরিচিত হয়ে উঠে গয়ানাথের বালিশ মিষ্টি নামে।
গয়ানাথ ঘোষ ১৯৬৯ সালে ভারতে চলে যান। এ সময় তিনি মিষ্টির দোকানটি কুমুদ চন্দ্র নাগের কাছে বিক্রি করে দেন। ১৯৭৫ সালের দিকে অর্থাৎ ছয় বছর পর কুমুদ চন্দ্র নাগ বালিশ তৈরির প্রধান কারিগর নিখিল মোদকের কাছে তা বিক্রি করে দেন। নিখিলের মৃত্যুর পর বর্তমানে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছেন তাঁর তিন ছেলে বাবুল মোদক, দিলীপ মোদক ও খোকন মোদক।
বর্তমানে ‘গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামে শহরে তিনটি শাখা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ মিষ্টি এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অভিজাত দোকানগুলোয় সরবরাহ করা হয়। এছাড়া, কোন অনুষ্ঠানের স্পেশাল অর্ডার থাকলে তাও তারা সরবরাহ করেন। অনেকে দেশের বাইরেও বালিশ মিষ্টি নিয়ে যান।
নেত্রকোনা জেলা শহরের গয়ানাথ ঘোষ বিখ্যাত বালিশ মিষ্টির উদ্ভাবক। তার নামানুসারে এ মিষ্টি গয়ানাথের বালিশ নামে পরিচিত। নেত্রকোনা শহরের বারহাট্টা সড়কে ‘গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামের যে মিষ্টির দোকানটি দেখা যায় বহু বছর আগে তা পরিচালনা করতেন গয়ানাথ নামীয় একজন। গয়ানাথের শখ ছিল নতুন নতুন মিষ্টি তৈরি করার। একদিন তিনি শখের বশে বিশাল আকারের কয়েকটি মিষ্টি তৈরি করে তা বিক্রি করলেন। ক্রেতারা তার এ মিষ্টির খুব প্রশংসা করলেন। মিষ্টিটির আকার অনেকটা কোল বালিশের মতো হওয়ায় এটির নাম রাখা হলো বালিশ মিষ্টি। অল্প দিনেই ছড়িয়ে পড়ে এ মিষ্টির সুনাম। একসময় গয়ানাথের নামও জড়িয়ে যায় মিষ্টির নামের সংগে। মিষ্টিটি পরিচিত হয়ে উঠে গয়ানাথের বালিশ মিষ্টি নামে।
গয়ানাথ ঘোষ ১৯৬৯ সালে ভারতে চলে যান। এ সময় তিনি মিষ্টির দোকানটি কুমুদ চন্দ্র নাগের কাছে বিক্রি করে দেন। ১৯৭৫ সালের দিকে অর্থাৎ ছয় বছর পর কুমুদ চন্দ্র নাগ বালিশ তৈরির প্রধান কারিগর নিখিল মোদকের কাছে তা বিক্রি করে দেন। নিখিলের মৃত্যুর পর বর্তমানে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছেন তাঁর তিন ছেলে বাবুল মোদক, দিলীপ মোদক ও খোকন মোদক।
বর্তমানে ‘গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামে শহরে তিনটি শাখা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ মিষ্টি এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অভিজাত দোকানগুলোয় সরবরাহ করা হয়। এছাড়া, কোন অনুষ্ঠানের স্পেশাল অর্ডার থাকলে তাও তারা সরবরাহ করেন। অনেকে দেশের বাইরেও বালিশ মিষ্টি নিয়ে যান।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন