ভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব নরেশ রায়ের জন্ম নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াপাড়ায়। তার পিতার নাম গিরিশচন্দ্র রায়।
১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ সালে সংঘটিত সূর্য সেন-এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ পুলিশ ও সহায়ক বাহিনীর চট্টগ্রামে অবস্থিত অস্ত্রাগার লুন্ঠনের কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুট করার পর মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে ফতেয়াবাদ থেকে বিপ্লবী দল দুর্গম জঙ্গল দিয়ে হেঁটে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে রওনা দেয়। শহর এলাকায় ব্রিটিশ সেনাদের আক্রমণ করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ভোরের আগে শহরে পৌঁছতে না পেরে বিপ্লবী দল জালালাবাদ পাহাড়ে আত্মগোপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সূর্যসেন ও তার সহযোদ্ধারা জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় নিলে গোপনে সংবাদ পেয়ে ব্রিটিশবাহিনী সেখানে বড় ধরনের সামরিক হামলা চালায়। ২২ এপ্রিল, ১৯৩০ তারিখে সংগঠিত জালালাবাদ পাহাড়ের এ যুদ্ধে তিনি বিপ্লবী বাহিনীর অন্যতম ছিলেন। এ যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুদ্ধে নরেশ রায় শহীদ হন। জালালাবাদ পাহাড়ের এই যুদ্ধে প্রায় ১৪ জন শহীদ হয়েছিলেন। এদের মধ্যে হরিগোপাল বল (টেগরা), প্রভাস বল, নরেশ রায়, ত্রিপুরা সেন, বিটু ভট্টাচার্য, মতি কানুনগো, অশোক দত্ত, নির্মল লালা, জিতেন দাশগুপ্ত, মধুসূদন দত্ত, পুলিন ঘোষ ও অর্ধেন্দু দস্তিদারের নাম উল্লেখযোগ্য।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন